দুদিন ধরে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রয়েছেন মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর আমবয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের ৬ উসুলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর বাদ ফজর ভারতের হযরত মাওলানা জমশেদ আলীর বয়ানের মধ্য দিয়ে শনিবার দ্বিতীয় দিনের বয়ান শুরু হয়েছে।
বাদ জোহর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মোরসালিন (ভারত), বাদ আসর হযরত মাওলানা ইউসুফ আলী (ভারত) এবং বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা সা’দ বয়ান করেন।
ইজতেমা প্যান্ডেলের উত্তর-পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি খিত্তায় তাশকিলের জন্য বিশেষ স্থান রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে আল্লাহর রাস্তায় বের হতে ইচ্ছুকরা নাম তালিকাভুক্ত করে সেখানে অবস্থান করছেন। কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় দ্বীনের মেহনতে পাঠানো হবে।
এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের সময়ও এগিয়ে আনা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান, ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি মাওলানা মো. গিয়াসউদ্দিন। মুসুল্লিদের ভোগান্তি কমাতে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীদের পরামর্শের ভিত্তিতে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লীর হযরত মাওলানা সা’দ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
/এআর/