‘চাঁদাবাজি’ করতে গিয়ে জনতার হাতে অবরুদ্ধ পুলিশ

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় একটি শিল্প কারখানায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার কাছে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন স্থানীয়রা। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ অবরুদ্ধদের উদ্ধার করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মিরেরবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য সুজন মিয়া স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ও আব্দুল লতিফ তাদের সঙ্গীয় দুই কনস্টেবল নিয়ে সাদা পোশাকে রবিবার রাত ৭টায় মিরেরবাগ এলাকায় কাউছার টেক্সটাইল মিলের আশপাশে অবস্থান নেয়। এ সময় স্থানীয় কারাবন্দি সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা হিমেলের স্ত্রী রুমা আক্তারকে কৌশলে ওই শিল্পকারখানার ভেতরে পাঠিয়ে মালিক বিল্লাল হোসেনের অবস্থান নিশ্চিত করে।

পরে এসআই আমিনুল ও আব্দুল লতিফ, দুই কনস্টেবল ও স্থানীয় সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিঠু, গোলজার, জয়নালকে সঙ্গে নিয়ে ওই শিল্পকারখানার ভেতরে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে কারখানা মালিক বিল্লাল হোসেনকে আটকে রেখে মারধর করে ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় বিল্লাল ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে একত্রিত হয়ে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে। পরে অবরুদ্ধদের মধ্যে দুইজন নিজেকে থানা পুলিশের এসআই ও দুইজন কনস্টেবল বলে দাবি করেন।

এদিকে পুলিশ সদস্য অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) সাজিদুর রহমান ও সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম ওবায়েদুল হক রাত ১০টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) সাজিদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। রাত ১১টায় অবরুদ্ধদের উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।’

/এআর/