সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘ত্বকী হত্যা নিয়ে যখন কথা বলেছি, তখন শহর ঠিক ছিল। আমি কথা বললে দলীয় লোকজন বলে সরকারবিরোধী। আর এখন চার বছর ধরে কোনও কথা বলি না, তাই সব কিছুই অগোছালো। আমি কারও টাকা খাই না, কথা বলতে ভয় পাই না। যখন বলব, তখন সংবাদ সম্মেলন করে সব বলে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সব দফতর জনসেবার জন্য। দেশের ৬৪টি জেলায় রাজনৈতিক কোন্দল ও প্রতিযোগিতা রয়েছে। কিন্তু এত কিছুতেও অন্য জেলায় প্রশাসনের সব কর্মকর্তা কাজ করেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আসলে সবাই স্তব্ধ হয়ে যায় কেন? নারায়ণগঞ্জে প্রচণ্ড রাজনৈতিক প্রভাব আছে। কিন্তু জেলার ডিসি, এসপি চাইলে অবশ্যই সব করতে পারেন। এ জন্য নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট।’
এর আগে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরা প্রত্যেকের এলাকার মাদক, যানজট, অবৈধ স্ট্যান্ড, স্থাপনাসহ নাগরিক সমস্যা তুলে ধরেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) ছরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যানজট নিরসনে প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করছেন। বিভিন্ন গাড়িকে জরিমানা করছেন। এছাড়া মাদকের সুনির্দিষ্ট নাম ও ঠিকানা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ পুলিশের নয়, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাজ। তারাই এর জন্য কাজ করছে। তারপরও পুলিশ গত ১ বছরে ১৫০টি মাদক মামলা ও ৫০০ মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।’
নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট ও হকার উচ্ছেদসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ওয়াসা, বিআরটিএ ও গণপূর্ত বিভাগসহ সব প্রশাসনিক দফতরের সঙ্গে ওই সভার আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাব ১১ এর কোম্পানি উপ-অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেশ চাকমা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, জনস্বার্থ প্রকৌশলের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগ নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুর রহমানর হাবিব প্রমুখ।
/বিএল/এমএনএইচ/