বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারে অবতরণ করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর তিনি জেলা সার্কিট হাউজে যান। সেখান থেকে বেয়াই বাড়ি যান। বেলা ৩টা ১০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুর শহরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জনসভায় আসেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী ২০টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী যে ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন সেগুলো হলো ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন ভবন, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন সংগ্রহশালা, ফরিদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলোজি, শিশু একাডেমি, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ফরিদপুর ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের একাডেমিক কাম পরীক্ষা হল, সদর উপজেলাধীন চরকমলাপুর খেয়াঘাট থেকে বিল মামুদপুর স্কুল সড়কে কুমার নদীর ওপর ৯৬ মিটার দীর্ঘ আরসিসি সেতু, ভাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নতিকরণ, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, বিএসটিআই ভবন, ভাঙ্গা থানা ভবন, মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, সদর উপজেলা থেকে বাখুন্ডাজিসি হয়ে রসুলপুর ভায়া চর নিখুরদি সড়ক, ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মুন্সিডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩৩/১১ কেভি হারুকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।
এ ছাড়াও তিনি ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে এলাকাবাসীর তিনটি দাবি রয়েছে। সেগুলো হলো ফরিদপুরকে বিভাগ ঘোষণা, সিটি করপোরেশন ঘোষণা, একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
/এফএস/
আরও পড়ুন-
রিজার্ভ চুরিতে ‘রাষ্ট্রীয় মদদ’, হোতাদের নাম প্রকাশ করা হবে: এফবিআই