ভাংগা উপজেলার ঘাড়ুয়া ইউনিয়নের সাউতিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সরোয়ার হোসেন বলেন, ৩/৪ ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ এসে আধা ঘণ্টার বেশি থাকে না। এ জন্য মোবাইল ফোনও ঠিক মতো চার্জ দিতে পারেন না।
জেলার বোয়ালমারী উপজেলা শহরের কামরুল সিকদার বলেন, বিদ্যুৎ কখনই ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের বেশি থাকে না, ফলে প্রচণ্ড গরমে জীবযাপন দুর্বিসহ হয়ে গেছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরের বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে ছাত্রীদের আধাবেলা স্কুল করতে হচ্ছে।
জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রাম সংকর রায় বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত কয়েক দিনে পিক আওয়ারে তাদের চাহিদা ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, সেখানে সরবরাহ মাত্র ২০ থেকে ২৫ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং বাড়ানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।
জেলার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সরবরাহ ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আলম বলেন, পিক আওয়ারে ১৩০-১৪০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে এখন পাওয়া যাচ্ছে ৬৫-৭০ মেগাওয়াট। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ পেতে আরও কয়েকদিন সময় লেগে যেতে পারে।
/এআর/