জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সিংগাইরের এএসপি (সার্কেল) সামসুদ্দিন সালেহ আহমেদ চৌধুরীকে এঘটনা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘কি কারণে গভীর রাতে তারা ওই গ্রামে গিয়েছিল সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তদন্ত করার পর সঠিক তথ্য জানা যাবে।’
স্থানীয় মহিউদ্দিন কমল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী হাসেম প্রধান জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে পুলিশের ওই দুই সদস্য একটি মোটরসাইকেলে করে স্কুলের পাশে আসলাম শেখের বাড়ি যায়। বিষয়টি তার সন্দেহ হলে ঘটনাটি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। পরে সবাই মিলে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। গ্রামবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের এক সদস্য কৌশলে পালিয়ে গেলেও আরেক জনকে তারা আটক করে।
বিষয়টি অস্বীকার করে ওই বাড়ির মালিক আসলাম শেখ জানান,‘বিষয়টি পরিকল্পিত। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। কোনও পুলিশ সদস্যকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়নি।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বিপিএম জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিংগাইরের এএসপি সার্কেল সামসুদ্দিন সালেহ আহমেদকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। আগামী শনিবারের পর তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: আখাউড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার