স্থানীয়রা জানান, সারা বছর বেগুনবাড়ী এলাকায় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। বর্ষা এলে রাস্তাঘাট, উঠোন, রান্নাঘর ও বসতঘরে পানি ওঠে। মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি গৃহপালিত জীবগুলোর খাবার দাবার বন্ধ হয়ে যায়। এসব কারণে পানিবাহিত নানারকম ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
দরপত্রের মাধ্যমে কার্যাদেশ দেওয়ার পর চলতি অর্থবছরের আর কয়েকদিন বাকি। অথচ এই এলাকায় এখনও এর কাজ শুরু হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল বিভাগও দুই রকমের কথা বলছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, বেগুনবাড়ী এলাকায় গত পাঁচ বছর ধরে জলাবদ্ধতা একটি স্থায়ী সমস্যা। বৃষ্টি না হলে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করে বাড়িতে বসবাস করা যায়। কিন্তু বর্ষা শুরু হলেই যতো দুর্ভোগ শুরু হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ডুবে ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে। কেউ কেউ বর্ষাকালে মাচা তৈরি করে ঘরে ঢোকেন। বসবাসকারী পরিবারগুলোর সদস্যরা নানা রকম পানিবাহিত রোগে ভুগছেন। গৃহপালিত জীবগুলোর খাবার দাবার কখনও কখনও বন্ধ থাকে।
স্থানীয় রোমানা বেগম বলেন, বেগুনবাড়ী এলাকার চারদিকে পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা নেই। জলাবদ্ধতার কারণে চলাফেরা ছাড়াও দৈনন্দিন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স চুন্নু অ্যান্ড কোম্পানির মালিক ফরিদ আহম্মেদ চুন্নু বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দে আমাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রায় পাঁচ মাস আগে পৌরসভায় নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদান করেন। তিনি ওই এলাকা পরিদর্শন করে কাজের ক্ষেত্র বাড়িয়ে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। বৃষ্টির পানি সরে গেলে নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’
শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মোল্ল্যা বলেন, ‘ঠিকাদার যথাসময়ে কাজ শুরু করেনি। এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রথমে ড্রেন তৈরির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ষার কারণে নির্মাণ কাজ শুরু করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পাইপ স্থাপন করে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হবে।’ তবে কার্যাদেশ দেওয়ার পর পরিকল্পনা পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
/এআর/