দিনে দুর্নীতি ও রাতে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে ওই ১৪ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও বন্দর থানায় পুলিশের পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ৯ কনস্টেবলের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে দিনে দুপুরে দুর্নীতি ও রাতে সাধারণ মানুষদেরকে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে তাদেরকে মঙ্গলবার (২০ জুন) প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এখন পুলিশের এই ১৪ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শাস্তি হিসেবে তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে অন্যত্র বদলি করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনারগাঁও থানার এসআই (এসআই ) মারুফুর রহমান ও এসআই দিদারুল আলম মেঘনা টোল প্লাজা চেকপোস্টে, এসআই নাজমুল আলম ঢাকা-গাজীপুর-মদনপুর বাইপাস সড়কের সোনারগাঁওয়ের ললাটি চেকপোস্টে, এসআই জহিরুল ইসলাম ঢাকা-গাজীপুর -মদনপুর বাইপাস সড়কের বস্তল চেকপোস্টে ও বন্দর থানার ধমঘর ফাঁড়ির এসআই মাজহারুল ইসলাম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনের সময় যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়াই যাত্রীদের দেহ তল্লাশির নামে হয়রানি, মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা, ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এসব অভিযোগের কারণে ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের স্পেশাল গোয়েন্দা বিভাগ তাদের বিষয়ে সিভিলে তদন্তে নামে। ওই স্পেশাল টিম হাতেনাতে বিভিন্ন অপরাধের সত্যতা পায় এবং তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত চেকপোস্টে দায়িত্বরত এসআই ও কনস্টেবলদের সাময়িক শাস্তি হিসেবে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চেকপোস্টে অনিয়ম ও দুর্নীতির পাশাপশি থানায় বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা তদন্ত ও রাতে স্পেশাল ডিউটি পালন করার সময়ও সাধারণ মানুষকে ধরে গ্রেফতার বাণিজ্য, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে টাকা আদায় করে ছেড়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তারদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগে প্রত্যাহার করা পাঁচ এসআই ও ৯ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
/এআর/ এপিএইচ/