গাজীপুরে সোর্সসহ পুলিশের এএসআইকে মারধরের অভিযোগ

গাজীপুরগাজীপুরে জয়দেবপুর থানার এএসআই মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ও সোর্স আবুল বাশারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তা মঞ্জুরুলকে শনিবার (২২ জুলাই) রাতে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত এএসআই মঞ্জুরুল জানান, গাজীপুর শহরের পশ্চিম জয়দেবপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুলের পাশে এক বাড়িতে মাদক ব্যবসা করা হয় এমন সংবাদ পেয়ে শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে জহিরুল ইসলামসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের থানাহাজতে রেখে রাত ১০টার দিকে পুলিশের সোর্স বাশারকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তিনি ভুরুলিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় ভুরুলিয়া রেল গেইট এলাকায় কয়েক ব্যক্তি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে এবং সোর্স বাশারকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে তারা আহত হন। রাতে জয়দেবপুর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন তাকে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় পৌঁছে দেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি শিমুলতলী এলাকায় এক হাসপাতালের মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট পদে চাকরি করি। শনিবার বিকালে গাজীপুর শহরের পশ্চিম জয়দেবপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুল এলাকায় সাবেক সহকর্মী আবু মুসার স্ত্রী ফিরোজা বেগমের বাসায় দেখা করতে যাই। এসময় আরও দুই ব্যক্তি ওই বাসায় গেলে পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে আমাকে এবং ওই সহকর্মীর স্ত্রী ফিরোজা বেগমসহ চারজনকে আটক করে। এ ঘটনার পর মুক্তি পেতে পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে আমার কাছে টাকা দাবি করা হয়। পরে সহকর্মীদের সঙ্গে মধ্যস্থতায় পুলিশ আমাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়। তবে পুলিশ কর্মকর্তা ও সোর্সকে কে বা কারা মারধর করেছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই।
শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভুষণ জানান, শনিবার রাত ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে এএসআই মঞ্জুরুল ইসলামকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার কপাল, মাথা, বুক ও মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি আমিনুল জানান, ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টির সমাধান হয়েছে।
/এআর/