পদ্মার পানি বেড়ে গোয়ালন্দের ৮৮টি গ্রাম প্লাবিত

rajbariরাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি দিন দিন বেড়েই চলেছে।বর্তমানে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পানি বৃদ্ধির কারণে গোয়ালন্দ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৮৮টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার জানান, নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে তা এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। আগামী কয়েকদিন পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা জানায়, পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৬০টি, উজানচর ইউনিয়নের ১৫টি, দেবগ্রামের ৮টি ও ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

এসব গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ পরিবারের ৬৩ হাজার ৬০০ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছে। ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার প্রায় ৬৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে এসব ইউনিয়নের বন্যা কবলিত বাসিন্দাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৮.৮ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম মণ্ডল জানান, ইউনিয়নের ৬৫টি গ্রামের মধ্যে ৬০ গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া পদ্মা নদীর তীরবর্তী বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া, ছিদ্দিক কাজী পাড়া, বেপারী পাড়ার আংশিক ও আফছার শেখের পাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন ধরে এসব এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মণ্ডল জানান, জরুরিভাবে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা, ১৭০ মেট্রিক টন চাল ও ১৬ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেটের চাহিদা চেয়ে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বন্যার্ত মানুষের জন্য জরুরি প্রয়োজনে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ১১টি আশ্রয়ণকেন্দ্র খোলা হয়েছে।

/এআর/