ক্লাসের পড়া বলতে না পারায় চতুর্থ শ্রেণির ২৮ শিশু শিক্ষার্থীকে ডোবার নোংরা পানি খাওয়ানো হয়েছে বলে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীনের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুল মাঠে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীরা লজ্জায় প্রথমে কাউকে কিছু না বললেও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার বিষয়টি অভিভাবকরা জানতে পারেন। শনিবার স্কুল খুললে অভিভাবকরা স্কুলে অবস্থান নেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকার অপসারণ ও বিচারের দাবি জানান।
শিক্ষার্থী জাহিদের বাবা মান্নান হাওলাদার বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জানতে পারি, পারভীন ম্যাডাম জাহিদকে ডোবার নোংরা পানি পান করতে বাধ্য করেছে।’ অভিভাবক আনোয়ার হোসেন, মজিবর শেখ, টিটু চৌকিদার ও হেলাল চৌকিদারও একই অভিযোগ করেন।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বোরহান বলেন, ‘লামিশা, নিরব ও আমি পড়া পেরেছি। তাই আমাদের নোংরা পানি খেতে হয় নাই। ম্যাডামের কথামতো আমি জগ ভরে ডোবা থেকে পানি আনি। প্রথমে আসিফকে এক গ্লাস পচা পানি খাওয়ানো হয়। এরপর বাকিদের খাওয়ানো হয়।’
তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন হাওয়া বলেন, ‘আমি রাগ করে তাদের (শিশুদের) পচা পানি খাওয়ানো দরকার বলেছি। কিন্তু সত্যি সত্যি খাওয়াই নাই।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর মাদবর বলেন, ‘পড়া না পারার জন্য শিশুদের এ ধরণের শাস্তি দেওয়া জঘন্য অপরাধ। এলাকার গণ্যমান্যরা বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীনের বাবা ইউনুস মৃধা বলেন, ‘আমার মেয়ে কাজটা ঠিক করে নাই। আমি এলাকার লোকজন নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করবো।’
/এমও/