জানা গেছে, বার একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান সরকার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। চলতি বছরের ২১ আগস্ট প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরই মধ্যে স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা গোপন রেখে আগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব শামীম চৌধুরিকে সভাপতি রেখে নতুন চারজন সদস্যকে নির্বাচন করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য শামসুজ্জামান খান ভাসানী জানান, প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান স্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার নিজস্ব কোচিং সেন্টারে বাধ্যতামূলক কোচিং করা, ভর্তি ও গ্রামার বই পাঠের নামে বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি করে আসছেন। যে কারণে স্কুলের শিক্ষার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে।’ তবে তার সামনে ওই শিক্ষককে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেওয়ার বিষয়টি তিনি দেখেননি বলে জানান।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী অনেকে স্কুল নিয়ে ব্যবসা করতে চান। তাদের মন মতো কমিটি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। তারই অংশ হিসেবে তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাদের সামনে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা আমাকে ব্যথিত করেছে। যারা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে তাদের শাস্তি চাই।’
এর আগে গত বছরের ১৩ মে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামলকান্তিকে লাঞ্ছিত করে স্কুল কমিটির লোকজন ও স্থানীয় জনগণ।
আরও পড়ুন:
বরিশালে দুই ছাত্রলীগকর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ