টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাকিয়া সুলতানা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় গ্রেফতার করা পাঁচ আসামির জামিন চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফায়জুর রহমান। শুনানির সময় তিনি নিজে উপস্থিত না হয়ে তার প্রতিনিধি পাঠান। পরে আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া শুনানি না করে আবেদনটি খারিজ করে দেন। আসামিরা হলেন- বাসের সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর, চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলী।
গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে বাসের হেলপারসহ পাঁচ শ্রমিক। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় রাস্তার ধারে বনে ফেলে রেখে যায় তারা। পুলিশ ওই রাতেই রূপার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে রূপাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫), সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন- ‘বেওয়ারিশ’ রূপা ঠাঁই পাচ্ছেন পারিবারিক কবরস্থানে