সোমবার (১৬ অক্টোবর) মেডিক্যাল কলেজের উত্তেজিত ছাত্ররা হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং আউটসোর্সিং কর্মচারীদের মারধর করে। এ সময় ছাত্ররা হাসপাতালের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানায়। তারা আউটসোর্সিং ঠিকাদারের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা গেছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ। দুপুরে মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্র তার মায়ের এক্স-রে করাতে হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষে নিয়ে যান। তবে কাগজে চিকিৎসকের স্বাক্ষর না থাকায় টেকনিশিয়ান এক্স-রে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্র ফিরে আসেন। পরে অন্য ছাত্ররা জোট বেঁধে এক্স-রে কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর করলে সেখানে উপস্থিত আউটসোর্সিং কর্মচারী শাহীন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও আউটসোর্সিং কর্মচারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি লেগে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানান, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে তারা অতিষ্ঠ। ক্ষিপ্ত ছাত্ররা তাদের নানা অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে।
মঙ্গলবার সকালে আউট সোর্সিং কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকায় বিক্ষোভ করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুইপক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে সাতজন আহত হয়।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস জানান, ছাত্র ও আউটসোর্সিং কর্মীদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটি বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
আরও পড়ুন- শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর