ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ সাত জনের কারাদণ্ড

ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় দণ্ডিতরাগাজীপুরের কালীগঞ্জে ইজিবাইক চালক আব্দুল হামিদ হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ সাত জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক এই রায় দেন।

গাজীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ একথা জানিয়েছেন।

রায়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জের বড়নগর গ্রামের আঙ্গুর খানের ছেলে মাসুমকে (২৮) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর আঙ্গুর খান (৫০) ও তার দুই ছেলে সুমন (২৫) ও রজন (২২), একই এলাকার মজিব ওরফে মজিবুল হক (২৪), আকবর আলী (৫৪) এবং হৃদয়কে (২০) পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পিপি হারিছ উদ্দিন আহম্মদ জানান, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ সকালে কালীগঞ্জের চান্দাইয়া গ্রামের বড়নগর এলাকায় আব্দুল হামিদের ইজিবাইকের সঙ্গে ও আঙ্গুর খানের ইজিবাইকের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে হামিদ ও আঙ্গুরের মধ্যে  মারামারি হয়। এসময় হামিদকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায় আঙ্গুর। পরে হামিদ কয়েকজনকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আঙ্গুরের বাড়ির সামনে যায়। আঙ্গুর তার লোকজন নিয়ে রড ও লাঠি দিয়ে হামিদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে মাসুম পেছন থেকে হাতুড়ি দিয়ে হামিদের মাথার আঘাত করে। পরে এলাকাবাসী হামিদকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ধানমন্ডি জেনারেল ও কিডনি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ মার্চ রাতে হামিদ মারা যায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। পরে এসআই তরিকুল ইসলাম সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১১ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি হারিছ উদ্দিন। আর আসামিপক্ষে ছিলেন হুমায়ুন কবির ও কাউসার সিকদার।