নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেঁচে গেলেন লৌহজংয়ের শাহীন

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মুন্সীগঞ্জের শাহীন

নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেঁচে গেছেন মুন্সীগঞ্জের মো. শাহীন বেপারি। তিনি লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বান্দেগাঁও গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে। কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুকুন্দ রাজ জোশি বুধবার (১৪ মার্চ) রাত ১২টায় বাংলা ট্রিবিউনকে এ খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ‘বিমান দুর্ঘটনায় শাহিনের শরীরের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে এখন অবস্থা কিছুটা ভালো। সে কথা বলতে পারছে।’

মো. শাহীন বেপারি নেপালের ত্রিভুবনে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী ছিলেন। তিনি এখন কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শাহীনের ছোট ভাই চঞ্চল বেপারি ইতোমধ্যে বড় ভাইকে দেখতে নেপালে পৌঁছেছেন। এসব তথ্য জানিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ শান্তি সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম রাকীব জানান, শাহীন বেপারি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। শাহীন স্ত্রী-কন্যা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করতেন।


উল্লেখ্য, সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ (বিএস ২১১) বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় নিহত হন দেশি-বিদেশি ৫১ জন আরোহী।