চালকদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
জামগড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম নামে এক অটোরিকশা চালক অভিযোগ করে জানান, তিনি বাইপাইল-আব্দুল্লাপুর মহাসড়কে জামগড়া এলাকা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকার রিক্সা-ভ্যান মালিক সমিতির লোকজন তাকে প্রতি মাসে পাচশ’ টাকা চাদা দেওয়ার কথা বলেন। তবে তিনি চাঁদার টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে ওই সমিতির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে জোর করে তার কাছ থেকে ৭৫০ টাকা নিয়ে একটি নম্বর প্লেট ও টোকেন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
খোরশেদ আলম নামের আরেক অটোরিকশা চালক জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে জামগড়া ও বাইপাইল এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অথচ ওই সমিতির সভাপতি সেলিম সরকারের লোকজন হঠাৎ করেই তার কাছ থেকে চাদা দাবি করেন। তাদের হুমকিতে বাধ্য হয়ে একটি নম্বর প্লেট ও টোকেনের বিনিময়ে ৭৫০ টাকা পরিশোধ করেন তিনি।
চালকদের অভিযোগ, তারা সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে। অথচ ওই সমিতির নামে তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৫শ’ করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। সমিতির লোকজন ধামসোনা ইউপি সদস্য ও থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভুইয়ার প্রভাবে চাদা আদায় করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে সড়কের উপর রিকশা থামিয়ে মারধোর ও রিকশা আটকে রাখাসহ নানা ভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মঈনুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, কেউ তার নাম ব্যবহার করে মিথ্যে কথা বলছে। এছাড়া তিনি ওই সমিতির উপদেষ্টা তো দূরের কথা সমিতির সঙ্গে তার কোন সম্পর্কও নেই। তবে কেউ যদি রিকশা চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন, তিনি সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বলেন, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেলেও কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে দ্রুত খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।