গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে মুখ খুলছেন না গ্রাউন্ড স্টেশনে কর্মরতরাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। সংবাদ সংগ্রহের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সংবাদকর্মীরা স্টেশনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে কর্মরতরা তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রাউন্ড স্টেশনে কর্মরত নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, বিটিআরসির অনুমতি ছাড়া কোনও তথ্য দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, স্টেশনটি শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। এজন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মোহাম্মদ দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চপ্যাড থেকে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। কক্ষপথে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপিত হওয়ার পর গাজীপুরে স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ধরনের আরেকটি গ্রাউন্ড স্টেশন রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় স্থাপন করা হলেও সেটি গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হবে গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের পর নিজস্ব কক্ষপথে গিয়ে পৌঁছতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। পরে সেটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনে কাজ শুরু করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে। স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করবে এটির ফরাসি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালেস অ্যালেনিয়া।
গাজীপুর জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ সিরাজুর রহমান ভূঞা জানান, আনসার বাহিনীর সদস্যরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। সেখানে এক প্লাটুনের একটি অঙ্গীভূত আনসার ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আনসার ক্যাম্পের অঙ্গীভূত আনসার প্লাটুন কমান্ডার মোস্তফা শেখ জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের গর্ব, তাই গ্রাউন্ড স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।