পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নবঘোষিত কমিটির সভাপতি তায়েবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় ব্যানার্জী সমর্থিত দু’গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার সভাপতি সমর্থিত কয়েক কর্মী বিশ্ববিদ্যালয় গেইট এলাকার দুই ফটোকপি ব্যবসায়ীকে ক্যাম্পাসে ধরে নিয়ে চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত অপর কয়েক কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়। এনিয়ে দু’পক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত কর্মী ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাদ্দাম হোসেন ও ওয়াফিক হোসেন এবং একই বর্ষের মেকানিক্যাল বিভাগের ছাত্র মিজানুর রহমান মিঠুন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ের কয়েকদিন আগেই রমজান ও ঈদ উপলক্ষে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আগের দিনের ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তায়েবুর রহমানের সমর্থিতরা কাজী নজরুল ইসলাম আবাসিক হলের পুরাতন ভবনে এবং সাধারণ সম্পাদক বিনয় ব্যানার্জী সমর্থিতরা একই হলের এক্সটেনশন ভবনে অবস্থান নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। এসময় তারা পরষ্পরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার জন্য পুলিশ রাতে বিভিন্ন আবাসিক হলে অভিযান চালায়। শিক্ষার্থীরা জানায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ছাত্রদের দু’টি পক্ষের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের কয়েকদিন আগেই রমজান ও ঈদ উপলক্ষে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ না করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদেরকে হল ত্যাগের জন্য রাতে অভিযান চালাচ্ছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খালি করার চেষ্টা করছে।