মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাশেদ খান, ফারুক হোসেন, তারেক আদনান, মশিউর রহমান, আতিকুর রহমান, সাইদুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাসুদ সরদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. সোহেল,গাজীপুর ভাওয়াল কলেজের ছাত্র সাখাওয়াত হোসেন সোহরাব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জসীম উদ্দিন আকাশ।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার মোহাম্মদ জাহেদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জামিন প্রাপ্তদের কাগজপত্র ঠিকভাবে যাচাইয়ের পরই তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
সকাল ৮টা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের স্বজন ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান-আল-মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, মোজাম্মেল মিয়াজী, আতাউল্লাহসহ ২০/২৫জন কোটা আন্দোলনের নেতা কারাগারের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। তারা মুক্তি পাওয়াদের জড়িয়ে ধরেন এবং তাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ন্যায়সঙ্গত একটি যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছি। কিন্তু আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া নাহলে আমরা ঈদের পরে আবার আন্দোলনে যাবো।’
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল বলেন, ‘আমাদের অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। মুক্তি পেয়ে আমি অনেক শান্তি পাচ্ছি। আমার বাবা নেই। একমাত্র মায়ের সঙ্গে এই ঈদের আনন্দ করতে পারবো বলে আমি খুব খুশি।’
কারাগারের সামনে সকাল থেকে অপেক্ষমাণ ঝিনাইদহ থেকে আসা রাশেদ খানের বাবা নবাই বিশ্বাস ও মা সালমা বেগম বলেন, ‘আমাদের ছেলে নির্দোষ।ছেলে মুক্তি পাওয়ায় আমরা সবাই একসঙ্গে ঈদের আনন্দ করতে পারবো।’
রাজশাহীর পঞ্চগড় থেকে ছেলেকে নেওয়ার জন্য কারাগারের সামনে থাকা সোহেলের মা জমিলা বেগম বলেন, ‘ছেলে সোহেল কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ায় আমার আনন্দ লাগছে। মিথ্যা মামলায় আমার ছেলেকে জড়ানো হয়েছে। আমার ছেলে কোনও অন্যায় করেনি। আমি সরকারের কাছে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।’