নিহতরা হলেন- সোহাগ ভূঁইয়া (৩২), নূর হোসেন বাবু (২০) ও শিমুল আজাদ (৩০)।
ওসি মনিরুজমান বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৮টায় স্থানীয় লোকজন রূপগঞ্জের পূর্বাঞ্চল উপশহরের ১১ নং ব্রিজের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তিনটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। নিহতের মাথায় বুকে ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে।’ পরে বিকালে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘নিহতদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, নিহত সোহাগ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রাজধানী মেট্টোপলিটনের বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যাসহ ৬টি মামলা, নিহত নূর হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে ২টি মাদক মামলা এবং নিহত শিমুল আজাদের বিরুদ্ধেও ২-৩টি মামলা রয়েছে।’
ওসি বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার জন্য কয়েক দফায় যোগাযোগ করা হলে তারা মামলার করার ব্যাপারে আগ্রহ না দেখানোর কারণে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনজনের নিহত হওয়ার ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। নিহত তিনজনের বিষয়ে অধিকতর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু মামলা রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। ’