কাপাসিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ

মাদ্রাসা শিক্ষকে নির্যাতনগাজীপুরের কাপাসিয়ায় ‘কোরআন শিক্ষা মাদ্রাসা’র এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত ও আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মো. সিয়াম (১০) নামের ওই শিক্ষার্থী মঙ্গলবার সকালে ওই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে অভিভাবকদের কাছে নির্যাতনের কথা জানায়। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ আমীর হোসেন এ ঘটনার পর গাঢাকা দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীর মামা সাগর মিয়া জানান, সিয়াম ওই মাদ্রাসায় হিফজু বিভাগে পড়াশোনা করছে। আবাসিক-অনাবাসিক দুটি পদ্ধতিতে মাদ্রাসায় পাঠদান করা হয়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনাবাসিক শিক্ষার্থীদেরও মাদ্রাসায় রাতে থাকতে হয়। কিন্তু আনাবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবার তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে সরবরাহ করা হয়।

শিক্ষার্থীর মা শিখা আক্তার জানান, শনিবার খাবার নিয়ে গেলে শিক্ষকরা তাকে সিয়ামের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। দেখা করতে চাইলে শিক্ষকরা জানান সিয়াম বাথরুমে রয়েছে। রবিবার ও সোমবারও একইভাবে শিক্ষকরা তাকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সিয়াম মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে তার মামার বাড়িতে এসে নির্যাতনের ঘটনা জানায়।

সিয়াম মোবাইল ফোনে জানায়, শনিবার রাতে সে বাড়ি যাওয়ার জন্য ছুটি চায়। বারবার ছুটি চাওয়ায় শিক্ষক আমীর হোসেন বেধড়ক পিটায়। পরে এ কথা কাউকে জানাতে বারণ করে। এরপর থেকে শ্রেণিকক্ষ ও বাথরুম ছাড়া তাকে কোথাও যেতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার সে পালিয়ে চলে আসে।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ সেলিম বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মাদ্রাসায় থাকাকালে ওই শিক্ষার্থী তাকে কিছুই জানায়নি। পরে অভিভাবকদের কাছ থেকে তিনি এসব বিষয় জেনেছেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক গাঢাকা দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাকসুদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলেছি।’