এবারের কুমারী পূজায় দেবীর আসনে বসিয়ে পূজা দেওয়া হয়েছে শহরের কিন্ডার কেয়ার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ৭ বছর ১১ মাস বয়সের প্রিয়ন্তি চক্রবর্তীকে। প্রিয়ন্তি চক্রবর্তী নগরীর নিতাইগঞ্জ এলাকার স্বপন চক্রবর্তী ও শংকরি চক্রবর্তীর মেয়ে। ঢাকঢোল ও শঙ্খ বাজিয়ে অঞ্জলি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমারী দেবীকে বরণ করেন ভক্তরা। এরপর দেবীর কাছে সবাই প্রার্থনা করেন। কুমারী পূজা পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ।
কুমারী পূজা সম্পর্কে মহারাজ বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দ শারদীয় দুর্গোৎসবে এ কুমারী পূজার প্রচলন শুরু করেন। দেবীকে জাগতিকভাবে পূজা করতে শত বছর ধরে এ কুমারী পূজা পালন করা হচ্ছে। সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে দেবীকে শিশুরূপে মায়ের আসনে পূজা করা হয়।’
আশ্রমে পূজায় অংশ নিতে আসা অনিকা সেন, কল্পনা চক্রবর্তীসহ কয়েকজন জানান, ‘প্রতি বছর এই দিনে মায়ের পূজার অংশ নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকি। মায়ের পূজায় অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের সমাজ, ঘর এবং দাম্পত্য জীবন যাতে ভালোভাবে কাটে। এজন্য মায়ের আশীর্বাদ নিই।’
দীর্ঘ এক বছর পর মা দুর্গাকে পেয়ে আনন্দের সঙ্গে বরণ করে নিচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মায়ের কাছে তাদের প্রত্যাশা, মা যেন সবার মনের বাসনা পূর্ণ করেন। দেশ থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাস, রাজনৈতিক অস্থিরতা, হানাহানি দূর করে সমাজ দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শঙ্কর সাহা, আমলাপাড়া সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, দেওভোগ নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্যসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।