মুন্সীগঞ্জ পরিসংখ্যান কার্যালয়ে জনবল সংকট

মুন্সিগঞ্জে পরিসংখ্যান অফিসমুন্সীগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ১৩টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র তিনজন কর্মকর্তা। শূন্য রয়েছে ১০টি পদ। তিনজন কর্মকর্তা দিয়ে ধুঁকেধুঁকে কোনোমতে চলছে অফিসটি। বর্তমানে একজন করে উচ্চমান সহকারী, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারী নিয়োজিত আছেন।

জানা যায়, জেলা পরিসংখ্যান অফিসে উপপরিচালকের পদটিও শূন্য রয়েছে। সে কারণে নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক আব্দুল আলীম ভূঁইয়াকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কখনও কখনও তিনি মুন্সীগঞ্জে অফিস করেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক পদে তাকে ফুল টাইম দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ ব্যাপারে আব্দুল আলীম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিশেষ ক্ষেত্রে মুন্সীগঞ্জ অফিসে আসা হয়ে থাকে। এছাড়া ফুল টাইম নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালন করি। এক মাসের বেশি সময় ধরে মুন্সীগঞ্জ পরিসংখ্যান অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছি।’ তিনি দাবি করেন, ‘যেহেতু দায়িত্ব পালন করছি, তাই পদ শূন্য বলা যায় না।’

মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের জুলাই থেকে এ কার্যালয়ে জেলার কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রম শুরুর প্রথম থেকেই অফিসটি জনবল সংকটে ধুঁকছে। যার কারণে শুরু থেকেই সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।

জানা যায়, উপ-পরিচালক, উচ্চমান সহাকারী, সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তার একটি করে, পরিসংখ্যান সহকারীর চারটি, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটরের দুটি, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের একটি, এমএলএসের একটি, নৈশপ্রহরীর একটি ও গাড়ি চালকের একটি পদ নিয়ে ১৩টি পদ বিদ্যামান। তবে পদ থাকলেও গাড়ি এখনও বরাদ্দ হয়নি। তবে ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোলার অপারেটর পদে মো. কামরুল ইসলাম, পরিসংখ্যান সহকারী পদে জহিরুল ইসলাম কর্মরত আছেন।
সরেজমিনে শহরের জুবলী সড়কের পরিসংখ্যান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, খাতা কলমে চারজন থাকলেও অফিস করছেন দুজন। অনেক সময় গ্রাহকরা সেবা নিতে এসে ফিরে যান। জনবল সংকট থাকায় অনেক সময় কর্মকর্তারা ছুটি নিতে পারেন না।

উচ্চমান সহকারী আব্দুল হাই বলেন, ‘প্রায় সময় মিটিং থাকলে বা জরুরি প্রয়োজনে মাঠে কোনও কাজে যেতে হলে অফিস থেকে একসঙ্গে দুজন বের হওয়া যায় না। পদ শূন্য থাকায় গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়।’