মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাদশা মিয়া, লাল মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও আজগর চৌধুরী। রায়ের আদেশের সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাদশা মিয়া ও লাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন। বাকি সবাই পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি আক্তার হোসেনও পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিদের ২০ হাজার জড়িমানা ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জড়িমানাও করা হয়।
সরকার পক্ষের পিপি আব্দুস সালাম জানান, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. মনির হোসেনকে অপহরণ করে। পরে অপহরণকারীরা মনির হোসেনকে সাভারের নামাবাজার খেয়াঘাটে আসামি লাল মিয়ার ট্রলারে করে মনির হোসেনকে বংশাই নদীতে হাত, পা, কোমর ও গলা বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক নম্বর আসামি বাদশা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালত দ.বি. ৩৬৫/৩৪/৩৮৫/৪৮৬/৩০২/২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শ্রিপা রানী সাহা।