বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়েকে হত্যা: পিবিআইয়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

পিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল
সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়েকে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল। রবিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাপুর মহাসড়কের মরাগাঙ্গ এলাকা পরিদর্শন করে পিবিআিই।

তবে, এখন পর্যন্ত পিবিআইকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান। তিনি জানান, তবে এ ধরনের ঘটনায় পিবিআই তদন্ত করতে পারে।

ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করতে এসে পিবিআইয়ের ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাসান বারি নুর বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলাটি পিবিআইতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বাসটি টাঙ্গাইলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেখানে না গিয়ে কিছু সময় ঘুরে আবারও ঢাকার উদ্দেশে চলে আসায় ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ বা ডাকাতি করার জন্যই বাবা-মেয়েকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়েছিল চালক ও হেলপারের লোকজন। ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের পাশের সিসি ক্যামেরা থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে বাসটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

এর আগে শনিবার রাতে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে, হত্যার ঘটনার দুই দিন পার হয়ে গেলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান আরও বলেন, ‘বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জরিনা খাতুন তার বাবা আকবর আলীকে নিয়ে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে স্বামীর বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা দেন। তখন বাসের মধ্যে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসের চালকের লোকজন তাদের দুজনকেই মারধর করে। পরে রাত ৮টার দিকে আশুলিয়া ব্রিজের নিচে আকবর আলীকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় চালকের সহকারীরা। এ ঘটনার কিছু সময় পরেই আকবর আলী বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে টহল পুলিশের একটি দল মরাগাঙ্গ এলাকা থেকে আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল মহাসড়কের পাশে জরিনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ ঘটনায় জরিনা খাতুনের মেয়ের জামাই নুর ইসলাম শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: 

বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়েকে হত্যার মামলা ডিবিতে

চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়েকে অপহরণ, পরে হত্যা