গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি (মিডিয়া) রুহুল আমিন সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ‘ইজতেমার প্রথম অংশে যারা অংশ নিয়েছেন তারা স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। এরপরও যারা এখনও যাননি তাদের অনুরোধ করে বলা হচ্ছে, আপনারা চলে যান অন্যদের আসার সুযোগ দেন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় রয়েছে তাদের। এরমধ্যেই তারা চলে যাবেন বলে আশা করছি।’
অপর অংশ মাঠে প্রবেশ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপর অংশকে সন্ধ্যার পর মাঠে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এখন কেউ কেউ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঢুকছেন।’
মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী,গাজীপুর, উত্তরাসহ আশপাশের এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণী বিতান ও অফিসসহ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। লাখ লাখ মানুষ মোনাজাতে অংশ নেন। সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের পাশের বাসা-বাড়ি, কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন। যে দিকেই চোখ যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষ। ইজতেমাস্থলের চারপাশের ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মোনাজাতে মুসলমানদের ঈমান মজবুত, পাপ মোচন ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া হয়। আখেরি মোনাজাতে পুরুষের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী কয়েক হাজার নারী অংশ নেন।
মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদফতর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে গণযোগাযোগ অধিদফতর ইজতেমা ময়দান থেকে আব্দুল্লাহপুর ও বিমানবন্দর রোড পর্যন্ত এবং গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস ইজতেমা ময়দান থেকে চেরাগআলী, টঙ্গী রেলস্টেশন, স্টেশন রোড থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু ও আশপাশের অলি-গলিতে পর্যাপ্ত মাইক সংযোগ দেওয়া হয়।
মোনাজাত শেষে ইজতেমা ময়দান ছেড়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এর আগে শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হেলিকপ্টারে চড়ে ইজতেমা ময়দানে আসেন আহমদ শফী।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাদ অনুসারীদের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ বছরের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। আগামী বছর ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি এবং ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।