দুই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: পুলিশ সদস্যসহ দু’জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জকিশোরগঞ্জের দুই কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্যসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অন্য ছয় আসামিকে চার বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল তিনটার দিকে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ রায় দেন। এসময় মামলার মোট আট আসামির মধ্যে তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পুলিশ সদস্য নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার হাটবারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান হলুদ ও ঝালকাটি জেলার নলছিটি উপজেলার কাউখিড়া আমিরাবাদ গ্রামের শামীম হাওলাদার জহির। তারা দু’জনই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই কিশোরগঞ্জে কর্মরত থাকাকালীন পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামন ও তার বন্ধু কলেজছাত্রী আফরোজা আক্তার সুমি ও আফরোজা আক্তার ঊর্মিকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরে রাজধানীর কাওরান বাজারের হোটেল ওয়েস্টার্ন গার্ডেনে নিয়ে ধর্ষণের পর তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর না দিয়ে নিহতদের লাশ তেজগাঁও ও এফডিসি এলাকায় ফেলে দেয়। পরে পুলিশ দুই কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার দুই মাস চার দিন পর নিহত সুমির বাবা আবু বাক্কার বাদী অজ্ঞাত আসামিদের নামে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতার করে। পরে প্রধান দুই আসামিসহ তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষ জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমজাদ হোসেন মোট আটজনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এম.এ আফজল বলেন, ‘মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা কমবে বলে মনে করি। বাদীপক্ষ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।