২৫ মার্চ রাতে সব সীমা অতিক্রম করে পাকিস্তানি বাহিনী: পাটমন্ত্রী

জাবিতে বক্তব্য রাখেন গোলাম দস্তগীর গাজীবস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সব সীমা অতিক্রম করে পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের সাধারণ মানুষের ওপর হামলে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের মানুষ মনে করতো না। ভাষা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে নিপীড়ন-নির্যাতন চালাতো। ২৫ মার্চ রাতে সব সীমা অতিক্রম করে সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, শিল্পীদের ওপর হামলে পড়েছিল। সে রাতে তারা ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিসংগ্রাম সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর আলোচনা সভা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এবং ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে। পাটমন্ত্রী বিকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানিদের চেয়ে রাজকাররা আমাদের বেশি ক্ষতি করেছে। পাকিস্তানিরা আমাদের চিনতো না। রাজাকাররা না থাকলে, পাকিস্তানিরা আমাদের কিছুই করতে পারতো না। যারা পাকিস্তানি আমল দেখেননি তারা তাদের হিংস্রতা সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন না।’

জাবিতে শিল্পীদের চিত্রাঙ্কন ঘুরে দেখেন গোলাম দস্তগীর গাজীগোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এখন স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ পাকিস্তান আমাদের মতো হতে চায়। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে হবে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সম্পত্তি না, ছাত্রলীগের সম্পত্তি না। তিনি ১৬ কোটি মানুষের সম্পত্তি।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৫-এ জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর, শত্রুরা স্বাধীনতার গল্প ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। বাঙালি স্বাধীনতা এবং মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, উৎসবের আহ্বায়ক ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ এবং জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা।

এ সময় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর, জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম এবং কোষাধ্যক্ষ শেখ মো. মনজুরুল হককে সম্মননা স্মারক প্রদান করা হয়।