৯ দফা দাবিতে নরসিংদীতে পাটকল শ্রমিকদের রেলপথ অবরোধ

পাটকল শ্রমিকরা রেলপথ অবরোধ করেছে

মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবারও (৪ এপ্রিল) নরসিংদীর দুই রাষ্ট্রায়ত্ব জুটমিলে টানা ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘট চলছে। এসময় জুটমিল শ্রমিকরা প্রায় ১ ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করে রেখে ট্রেনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে কমপক্ষে ২০ যাত্রী আহত হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, কাজে যোগ না দিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শহরের তরোয়া এলাকায় রেল পথ অবরোধ করে ইউএমসি জুটমিলের হাজারো শ্রমিক। এসময় রেললাইনে টায়ারে আগুন দিয়ে অবস্থান নিলে আটকা পড়ে ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগ্রামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। অবরোধের ফলে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথ প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এসময় শ্রমিকদের ছোড়া পাথরের আঘাতে অন্তত ২০ ট্রেনযাত্রী আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয় ট্রেনের ৫০টি জানালার কাঁচ। দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে সব ধরণের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পাটকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন,‘প্রায় ৫ হাজার শ্রমিকের একটি মিছিল তরোয়া এলাকায় রেল লাইনে আগুন দিয়ে ট্রেন অবরোধের চেষ্টা করে। অল্প কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেছে। আমরা ঘটনার আধাঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। ৪৫ মিনিটি অবরোধের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সিবিএ সভাপতি সফিকুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সাবেক সিবিএ সভাপতি আনিসুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিক নেতা কাইছার খানসহ অন্য শ্রমিক নেতারা।

আন্দোলনকারী শ্রমিক নেতারা জানান, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ আন্দোলন। এর মধ্যে শুধুমাত্র মজুরি কমিশন পরীক্ষামূলক বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা পাওয়া গেছে। তবে এতে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট না। পুরো দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা ঘরে ফিরে যাবে না বলে জানিয়েছে। এছাড়াও দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টা অবরোধ ও ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেয় শ্রমিক নেতারা।

 আগুন জ্বালিয়ে রেলপথ অবরোধ