রূপগঞ্জে বাসায় গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইনে লিকেজের কারণে বিস্ফোরণে আহত আরিফুর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

তিনি জানান, এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা চারজন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোর রাতে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের সাঁওঘাট এলাকায় আইনজীবী রাবেয়া আক্তার মিলির তিনতলা বাড়ির নীচতলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিতাস গ্যাসের হাই-প্রেসার পাইপ লাইন থেকে নেওয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণেই এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা ফায়ার সর্ভিসের সদস্যদের।

ঘটনার সময় দগ্ধ হয়ে মেহেরপুর জেলার মজিবনগর থানার কোমরপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে শামীম (২৩) ও ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কয়া এলাকার রহিম বিশ্বাসের ছেলে হেলাল বিশ্বাস ওরফে রাকিব (২৫) মারা যান। পরে ওইদিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তরিকুল ইসলাম। তারা তিনজনই স্থানীয় নেক্সট এক্সোসরিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

এদিকে ঘটনার দুই দিন পর মারা যান আরিফুর রহমান৷ নিহত আরিফের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার গোপীনাথপুর গ্রামে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, একই কারখানার শ্রমিক লিয়াকত আলী, হযরত আলী, আরিফ, আনোয়ার হোসেন, ফারুক মিয়া। তাদের মধ্যে হযরত আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় রাবেয়া আক্তার মিলি নামে এক আইনজীবীর একটি তিন তলা বাড়ি রয়েছে। মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া তিতাস গ্যাসের হাই-প্রেসারের পাইপ লাইন থেকে অবৈধভাগে ওই বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ নেন মিলি। হাই-প্রেসারের পাইপ লাইন থেকে আবাসিক গ্যাস সংযোগ নেওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। ওই ভবনটি স্থানীয় নেক্সট এক্সোসরিস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। শবে বরাতের কারণে সব মিল-কারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাসের প্রেসার বেশি ছিল। ভোর সোয়া ৩টার দিকে হঠাৎ করে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ভবনটির পুরো দেয়াল ভেঙে প্রায় ৫০ থেকে ৩০০ ফুট দূরে গিয়ে পড়ে। এসময় পুরো এলাকা কেঁপে উঠে।