ফণীর প্রভাবে মোংলা বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজের পণ্য ওঠানামা বন্ধ

  মোংলা বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্দরে অবস্থানরত সব দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বন্দরের নিজস্ব এলার্ট-থ্রি জারি করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার দুরুল হুদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আবহাওয়া অফিস থেকে মোংলা বন্দরে চার থেকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্দরে অবস্থানরত ক্লিংকার (সিমেন্টের কাঁচামাল), মেশিনারি, গ্যাস এবং স্লাগসহ ১৮টি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্দরের নিজস্ব এলার্ট -থ্রি জারির পর অভ্যন্তরীন নৌ রুটে সব ধরণের নৌযান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাই করার জন্য আসা লাইটারেজগুলোকেও নিরপদে নোঙ্গর করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাত হানার আশংকা ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১ মে) বিকেলে মোংলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জরুরি প্রস্তুতি সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার সরকারি কর্মকর্তাদেরকে সতর্কাবস্থায় থেকে শতভাগ প্রস্তুতি নেওয়াসহ তা বাস্তবায়নের নিদের্শ দিয়েছেন।

এছাড়াও তিনি সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সেগুলোর চাবি দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্গতরা যাতে সেখানে উঠতে পারে,সে ব্যপারেও নির্দেশনা দেওয়াসহ প্রত্যেকটি মসজিদের মাইকে সতর্ক বার্তা প্রচারের জন্য ইমাম ও সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়েছেন।

মোংলা বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জীবিতেষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে গঠিত একটি মেডিক্যাল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকছেন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান।

জরুরি এ সভায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও সিপিপিসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান।

তিনি বলেন,‘বনপ্রহীদের ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি নিয়ে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে এবং যে সব দর্শনার্থী এখনও বিভিন্ন নৌযানে করে বনের ভিতরে অবস্থান করছে তাদের নিরাপদে সরিয়ে দিতে বনপ্রহরীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।