বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ৩

ফরিদপুরফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে দু’দিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) তিন জনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন ওই তরুণী। পরে পুলিশ ওই তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

বোয়ালমারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চার মাস ধরে পাশের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই তরুণীর সঙ্গে বোয়লামারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামের ছবর শেখের ছেলে মো. ইউসুফ শেখের (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুধবার (৮ মে) বেলা ৩টার দিকে ইউসুফ ওই তরুণীকে বিয়ে করার কথা বলে মুঠোফোনে পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজার এলাকায় আসতে বলে। আসার পর ইউসুফ ওই তরুণীকে নিয়ে বাজার এলাকার হাবুল শেখের ছেলে মেহেদী হাসানের (২৪) বাড়িতে নিয়ে তোলে। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউসুফ তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে। পরের দিন বনচাকী গ্রামের আকমল বিশ্বাস (৩৫) ওই তরুণীকে আবারও ধর্ষণ করে। ঘরে আটকে রাখা ও ধর্ষণের খবরটি ওই তরুণী মেহেদীর ফুপাতো ভাইয়ের মাধ্যমে বোয়ালমারী থানায় জানান। বোয়ালমারী থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে মেহেদীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং ইউসুফ ও মেহেদীকে আটক করে। শুক্রবার সকালে ওই তরুণী বাদী হয়ে ইউসুফ, মেহেদী ও আকমলকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, ‘ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য শুক্রবার ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক ইউসুফ ও মেহেদীকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে। আর শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে আসামি আকমল বিশ্বাসকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ীর রাস্তার মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।