ফরিদপুরে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন




প্রবীর সিকাদরে বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনআওয়ামী লীগ নেতাদের চরিত্র হননেন মধ্য দিয়ে সাংবাদিক প্রবীর সিকদার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ভাবমূর্তি নষ্টের চক্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। শনিবার (১৮ মে) জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা অভিযোগ করেন, প্রবীর সিকদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ও নিজের পরিচালিত অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন এমপি ও মন্ত্রী সম্পর্কে অসত্য, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জনমনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করছেন প্রবীর সিকদার। বিএনপি-জামায়াত তথা যুদ্ধপরাধীদের মদদে ও তাদের অর্থায়নে তিনি এ কাজ করছেন।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, প্রবীর সিকদার নিজেকে সংখ্যালঘু পরিবারের সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বজনদের হত্যাকাণ্ড ও নিজের পঙ্গুত্বকে পুঁজি করে আবহমানকাল ধরে ফরিদপুরে চলে আসা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের সম্প্রীতি নষ্টেরও চেষ্টা করছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে। আমি ওই মামলার একজন সাক্ষী। তিনি যদি তার এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন তাহলে পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের দায়ে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ.এইচ.এম ফোয়াদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে, ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট প্রবীর সিকদারকে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা স্বপন পাল। এজাহারে বাদী বলেন, প্রবীর সিকদার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১০ আগস্ট বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ‘আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে দায়ী হিসেবে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এক নম্বরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নাম দেন। এরপর ওই বছরের ১৬ আগস্ট রাতে প্রবীর সিকদারকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ওই রাতেই ফরিদপুর নিয়ে আসা হয়। পরের দিন আদালতে তার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৯ আগস্ট তিনি জামিনে মুক্তি পান।