শ্রীপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১৫ টুকরো করে নদীতে নিক্ষেপ: এসপি

গ্রেফতার মামুন (ছবি– প্রতিনিধি)

গাজীপুরের শ্রীপুরে মামুন নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে (২২) শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে পলিথিনে ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) শাসুন্নাহার। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দিনগত রাত ২টার দিকে আশুলিয়া থানার কবিরপুর এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত সুমি আক্তার নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দেবকান্দা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে। আর মামুন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। গত দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এটি উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে।

সুমি স্থানীয় গিলারচালা এলাকার সাবলাইন গ্রিনটেক গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিক, আর মামুন পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান। তারা গিলারচালা গ্রামের সফিকুল ইসলাম বিপুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া। দেড়মাস আগে তারা ওই বাড়ি ভাড়া নেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান এসপি শাসুন্নাহার।

শাসুন্নাহার বলেন, ‘গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছে, দাম্পত্য কলহের জেরেই স্ত্রী সুমিকে খুন করেছে। পারিবারিক কলহ ও স্ত্রীর জমানো ৪০ হাজার টাকা ভোগ করার জন্য সে সুমিকে হত্যা করে।’

মামুনের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট সুমিকে হত্যার পরিকল্পনা করে মামুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচ কেজি ধারণক্ষমতার ২৫০ গ্রাম পলিথিন ব্যাগ, একটি চাকু, তিনটি ট্রাভেল ব্যাগ ও ঘুমের ওষুধ কিনে এনে বাসায় রাখে সে। ওই দিন রাত ১টার দিকে শ্বাসরোধ করে সুমিকে হত্যা করে মামুন। পরে তার লাশ গোসলখানায় নিয়ে যায় ও তা ১৫ টুকরো করে। এর পরদিন ৯ আগস্ট ভোর ৬টায় ওই টুকরোগুলো ট্রাভেল ব্যাগে ভরে কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী সেতুর ওপর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় মামুন।’ পরে সুমির খোঁজে তার স্বজনেরা বাসায় আসলে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বলেও জানান এসপি।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব কুমার সাহা বলেন, ‘নিহত সুমির স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে নদী থেকে পলিথিনে মোড়ানো লাশের টুকরো উদ্ধার করা হয়। মামুন ও আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা।’