পুলিশ ও মোশারফের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৪ আগস্ট বিকালে ঘাটাইল উপজেলার কদমতলী গরুর হাট থেকে ফেরার পর রাত ৯টার দিকে নিখোঁজ হন মোশারফ। পরদিন ঘাটাইল থানায় এ বিষয়ে জিডি করা হয়। জিডি ও মোবাইলফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে প্রতিবেশী নাছিমাকে (৩৫) ১৬ আগস্ট রাতে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মোশারফের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন নাছিমা। নাছিমা জানান, গত ৪ আগস্ট রাতে মোশারফকে ডেকে নিয়ে তিনি ও তার ভাই আকতার মিলে খুন করেন। পরে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন নাছিমা। তার দেওয়া তথ্যমতে নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নাছিমার ভাই আকতারের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অন্যতম আসামি আকতার কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের মৃত মেছের আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি ভিয়াইল মাদ্রাসার শিক্ষক।
মামলার বাদী মোশারফের ছোট ভাই সজিব মিয়া দাবি করেন, ২০১২ সাল থেকে আমার ভাই সৌদিতে ছিলেন। তিনি কষ্টার্জিত অধিকাংশ টাকা-পয়সা নাছিমাকে পাঠিয়েছেন। এবার রমজান মাসে দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে নাছিমা ও তার ভাই মিলে আমার ভাইকে নির্মমভাবে খুন করে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
ওসি হাসান আল মামুন বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যতম আসামি নাছিমার ভাই আকতার হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।’