বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষে ১০৭ শিক্ষকের বিবৃতি

bb

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষকরা। শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক ডরমেটরি ভবনের সামনে অন্তত ১৫ জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।

লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন কৃষি বিজ্ঞান অনুষদের প্রভাষক মো. গোলাম ফেরদৌস। এই বিবৃতিতে ১০৭ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান ওই শিক্ষক। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে বশেমুরবিপ্রবি-তে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আমরা সাধারণ শিক্ষকরা তার সাথে সাথে একমত পোষণ করছি। তারা জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার পরেও কতিপয় স্বার্থান্বেষী শিক্ষকদের সরাসরি ইন্ধনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রাখা অনভিপ্রেত।

132

শিক্ষকরা দাবি করেন, ‘ইতোপূর্বে সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বারবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলেও তারা শিক্ষকদের সাথে অসহযোগিতা করে এবং অশোভন আচরণ প্রদর্শন করে। তদুপরি আমরা সাধারণ শিক্ষকগণ উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সবসময় সর্বাত্নক ও আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এমতবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ’

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। গত বুধবার জিনিয়ার বহিস্কারাদেশ তুলে নিলেও উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। যা এখনও চলমান।