প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করা নিয়ে মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের চার সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষশনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে জেলা ছাত্রলীগের দু’পক্ষ পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে। দু’পক্ষ মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় মুখোমুখি হলে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষে বাধে। এসময় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে কলেজের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে দু’পক্ষ অবস্থান করেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় বিস্ফোরণ ঘটেমাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হাওলাদার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন উপলক্ষে আমরা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নাজিমউদ্দিন কলেজে আনন্দ র‌্যালির আয়োজন করেছিলাম। অপরপক্ষ পাল্টা মিছিল নিয়ে আমাদের মুখোমুখি হয়। এরপর তাদের হামলার কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতির পাওয়া তানভীর মাহমুদ আবীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা কলেজে কেক কাটি। এরপর ওই পক্ষ আমাদের মিছিলের সামনাসামনি হলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষে রয়েছেন সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, অপরদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সদর, রাজৈর, পৌর ও কলেজ শাখার পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজ তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, উভয়পক্ষই উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থানে ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় নাজিমউদ্দিন কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।