এএসআই’র বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবনের অভিযোগ, গ্রেফতার তিন

গ্রেফতারনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কালাদী এলাকায় এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে শেল্টার দেওয়াসহ মাদক সেবনের অভিযোগে উঠেছে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের এক এএসআই’র বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে পুলিশ ওই মাদক ব্যবসায়ী আল-আমিনকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে। এ সময় এএসআই রাশিদুল হাসান নিজের মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

পরে আল আমিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাঞ্চন এলাকার আরও দুই মাদক ব্যবসায়ী সামছুলের ছেলে অলিউর রহমান অলি ও রতন মিয়ার ছেলে শাহজালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ‘আল আমিন মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সে কেন গিয়েছিল এবং তার সঙ্গে এএসআই রাশিদুলের কী সম্পর্ক এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুপার তাকে ডেকেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আল-আমিনের বাড়িতে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই রাশিদুল হাসান ইয়াবা সেবন করছে বলে সংবাদ পায় পুলিশ। এরপর ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় এএসআই রাশিদুল হাসান পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী আল আমিনকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি থেকে দুটি রামদা ও মাদক বিক্রির ৬ হাজার ৮শ টাকা জব্দ করা হয়।

ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই সফিকুল ইসলাম জানান, এএসআই রাশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবন ও মাদক ব্যবসায়ী আল আমিনকে শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে তাকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু সে তা কর্ণপাত করেনি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকায় রাশিদুলের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।’