হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ

লাশ



গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহ আলম শেখ (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাহ আলম ওই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক শেখের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোহালা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে সিন্দিয়াঘাট বাজারে সাবেক চেয়ারম্যান লিটন বয়াতির ও বর্তমান চেয়ারম্যান সফিকুল আলম মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের নিকটতম মাদারীপুরের রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । দুপুরে দিকে শাহ আলাম রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি আহত চাচাতো বোন মিনাকে দেখে বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। অনেক খোজা-খুঁজির পর এলাকাবাসী রাত পৌনে ৮টার  দিকে হাত-পা বাঁধা অব্স্থায় শাহ আলমকে কুমার নদে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
রাজৈর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মণ্ডল জানান, ‘হাসপাতালে আনার আগেই সে মারা গেছে। মুকসুদপুর সিন্দিয়াঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি (পুলিশ কর্মকর্তা) আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।