রবি জানিয়েছে, ৮ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে নরসিংহপুর এলাকার হামিম গার্মেন্টসের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। দুই মাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে দেন। কিছু দিন আগে থেকে তিনি ফের চাকরির খোঁজ শুরু করেন। চাকরির সন্ধানে ঘটনার দিন রাতে হামিম গার্মেন্টসের পাশের এলাকায় তার এক সহকর্মীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যুবলীগ কর্মী রাজন ভুইয়া, রাসেল, মাসুদ ওরফে পালসার মাসুদসহ কয়েকজন মদ খেয়ে মাতলামি করছিলেন। তখন হঠাৎ করেই তারা তাকে ডেকে নিয়ে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে রবি প্রতিবাদ করলে তারা তাকে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইলের একটি গাড়িতে তুলে দিয়ে জামগড়া এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশও দেয় রাজনের লোকজন।
আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী রাজন মারধরের বিষয়টি স্বীকার করলেও পা ভেঙে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘রাজন যুবলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়। তবে সে সংগঠনের কোনও পদে নেই। সম্পাদক পদের প্রার্থী। রাজন যেই হোক না কেন একজন শ্রমিককের পা ভেঙে দেওয়ার অধিকার তার নেই।’
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।