থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি ৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া হত্যা মামলার আসামিকে ৫ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক আসামির নাম মো. ইয়ামিন (২২)। তার বাবার নাম মো. ইসাহাক সরদার। বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানায়। সে গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ এ কে এম শামীম হাসান আসামি পালিয়ে যাওয়ার কথাটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, দ্বায়িত্বে অবহেলার কারণ দেখিয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশের ৩ এসআই ও ৩ কন্সটেবলসহ ৬ জনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সিদ্দিক, এসআই মো. মিজান ডিউটি অফিসার, এসআই মো. জহিরুল ইসলাম, কন্সটেবল মো. লতিফ, মো. হাসেম ও ওয়ারলেশ অপারেটর মো. রফিক।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা ডিএসবির পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলামকে প্রধান করে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকারসহ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ১৮ অক্টোবর (শুক্রবার) সদরঘাট টার্মিনালে ঢাকা-বরিশালগামী এমভি কীর্তনখোল-২ লঞ্চের বাবুর্চি মো. রুবেল হোসেনকে (২২) তুচ্ছ ঘটনার জেড় ধরে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে  ইয়ামিন (২২)। হত্যার পর সে দ্রুত পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় নিহত মো. রুবেল হোসেনের বড় ভাই বাদী হয়ে ইয়ামিনকে প্রধান আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সিদ্দিক নেতৃত্বে আসামি ইয়ামিনকে গাজিপুরের টুঙ্গী থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এসআই আবু সিদ্দিক ও এসআই মো. মিজান আসামিকে ইন্সপেক্টর অপারেশনের রুমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামি ইয়ামিনকে ওই রুমে রেখে এসআই আবু সিদ্দিক ও এসআই মো. মিজান বেরিয়ে যান। এরপর আসামি ইয়ামিন কৌশলে তার হ্যান্ডকাপ খুলে ফেলে। পরে সুযোগ বুঝে ডিউটিরত দুই কন্সটেবল মো. লতিফ, মো. হাসেম এবং ডিউটি অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম ও অপারেটর মো. রফিকের চোখ ফাঁকি দিয়ে থানা থেকে পালিয়ে যায়।