বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের কারণে দূর-দূরান্তের পাইকাররা তেমন একটা সবজি কেনেনি। সেই কারণে বাজারে সবজি তুলেও মূল্য পাননি কৃষকেরা। ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ায় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বাজার বেশ চাঙা হয়ে ওঠে। পাইকাররা দামও দিচ্ছেন আশানুরূপ। এখন ক্ষেত থেকে সবজি তুলে তা বাজারজাত করতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে বারীনগর, চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর, আব্দুলপুরসহ আশপাশের এলাকার কৃষকদের।
বাজারে আড়াই মণ ফুলকপি এনেছিলেন ঝিনাইদহের বারবাজারের লুচিয়া গ্রামের কৃষক নাসিরউদ্দিন। সেগুলো তিনি বিক্রি করেছেন ৫৫ টাকা কেজিতে।
বড়হৈবতপুর গ্রামের চাষি আলাউদ্দিন মণ্ডল এবার দেড় বিঘা জমিতে শিম, এক বিঘা জমিতে বেগুন আর ১৫ কাঠা জমিতে পটল চাষ করেছেন। বাজারে ৯০ কেজি শিম এনেছেন। তিনি জানান, আগেরদিন বৃহস্পতিবার বাজারে দুইশ কেজি শিম এনেছিলেন। কিন্তু, ট্রাক না চলায় পাইকাররা তেমন একটা সবজি কেনেনি। দামও ছিল খুব কম। মাত্র ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আজ বিক্রি করেছেন ৩৪ টাকা দরে।
বেপারি খাইরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সবজির মূল্য একটু বেশি। বারীনগর বাজারে মুলা ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, শিম ৩৫ টাকা, উচ্ছে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা পিস, মানকচু ২০-২৫, মানভেদে ৩০ টাকা কেজি, মেটেআলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।