বালু উত্তোলনের টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম জাকির হোসেন ( ৩২)। এ সময় আহত হন পাঁচ জন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাকির বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের টেকপাড়া আমিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন ও নুর মিয়ার ছেলে আমির হোসেনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে ২০-২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নবী হোসেন ও আমির হোসেনের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্র ও দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয় পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওযা হয়। এদের মধ্যে আমির হোসেন পক্ষের জাকিরকে আহত অবস্থায় ঢামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় টেকপাড়া আমিরাবাদ এলাকার আল-আমিন (৩৩), আবু হানিফ (৩১) ও সিরাজসহ (৩৭) পাঁচ জন আহত হন।
জাকিরের বড় ভাই মনির হোসেন জানান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন ও আইয়ুব আলী মেম্বারের ছেলে সিরাজের নেতৃত্বে তার ভাই জাকির হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাকির হোসেন নামে একজন খুন হওয়ার পর পুলিশের একটি টিম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশ ঢামেক মর্গে রয়েছে।’