আ.লীগ নেতাকে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

ছবি: (বাম দিক থেকে) কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা ও ব্যবসায়ী ইউছুফনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ইউছুফ (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হোসেন আলার বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে কাউন্সিলর তার কার্যালয়ে নিজেই মারধর করেন এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার ব্যবসায়ী ইউছুফ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তবে অভিযুক্ত নাসিক কাউন্সিলর ও থানা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলী হোসেন আলা দাবি করেছেন, তিনি ব্যবসায়ী ইউছুফকে লোকজন দিয়ে তুলে এনে সমঝোতা করে ছেড়ে দেন।

চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে কাউন্সিলর আলী হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর তাকে আসতে বলা হয়েছে। সে আসলে তার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আদমজী ইপিজেডের ভেতর টিএনএস বাটন কারখানায় ব্যবসা করছি। তবে কয়েকদিন আগে ইউছুফ টিএনএস বাটন কারখানায় কোটেশন দিয়ে আমার ব্যবসা নিয়ে যেতে চাচ্ছে। পরে ইউছুফকে আমার লোকজন তুলে আনে। সমঝোতার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

তবে ব্যবসায়ী ইউছুফের দাবি, টিএনএস বাটন কারখানা কর্তৃপক্ষ কোটেশন আহবান করলে নিয়ম মাফিক কোটেশন দাখিল করি ও বৈধভাবে কাজ পাই। কর্তৃপক্ষ কাজ দিয়েছেন, তাই ওই কারখানায় ব্যবসা করছি। হঠাৎ সোমবার বিকালে ওই কারখানার সামনে থেকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে শাহজাহান, হারুন, নজরুলসহ ছয় জন লোক তাকে জোর করে তুনে নিয়ে যান। পরে কাউন্সিলর আলী হোসেন আলার কার্যালয়ে নিয়ে আমাকে মারধর করা হয়।

ইউছুফ অভিযোগ করেন, এসময় কাউন্সিলর আলা ইপিজেডে ব্যবসা করতে হলে তাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেওয়ার কথা বলেন।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক। তিনি বলেন, এক ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।