পাইকারি ব্যবসায়ী আফজাল মোল্লা বলেন, ‘বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনাপুর হাটেই পেঁয়াজের বেশি সরবরাহ হয়। বর্তমানে ভালো মানের পেঁয়াজ ৪ হাজার টাকা দরে প্রতি মণ কেনাবেচা হচ্ছে।’
খুচরা ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘ছোট আকারের পেঁয়াজ ৬৫ কিংবা ৭০-৮০ এবং ভালো আকারের ফ্রেশ পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকা করে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দাম উঠানামা করছে।’
খুচরা ব্যবসায়ী মো. আসাদ বলেন, ‘ক্রেতারা অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ কিনছেন। বেশিরভাই ক্রেতাই ২৫০ গ্রাম থেকে ৫শ গ্রাম করে পেঁয়াজ কিনছেন। সারাদিনে মাত্র ১ জনই ১ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। আমি সোনাপুর হাট থেকে ক্ষুদ্র আকৃতির মুড়িকাটা পেঁয়াজ মণ ২৫শ টাকা দরে কিনেছি।’
বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তখন পরিমাণে বেশি কিনতাম।’
বানিবহ বাজারে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজের আমদানি বেশি। জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন হাট থেকেই স্থানীয় পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে এসব পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে পাইকারের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা তা সংগ্রহ করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। বাজারে আকার ও মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকা থেকে ১০৫ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
রাজবাড়ী জেলা বাজার অনুসন্ধান (মাকেটিং) অফিসার মো. আকমল হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার যেমন, চাউল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ বিভিন্ন দ্রব্যের দাম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করি। ব্যাবসায়ীদেরকে বলি, তারা যেন অধিক মুনাফা লাভের আশায় অস্বাভাবিক হারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করে। মাঝেমধ্যে আমরা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে থাকি।’