ছিনতাইয়ের পর শ্বাসরোধে হত্যা, আসামিদের স্বীকারোক্তি

01টাঙ্গাইলে ছিনতাইয়ের পর কামাল হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তিন ছিনতাইকারী। হত্যাকাণ্ডের প্রায় আড়াই মাস পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

এর আগে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আকরামুল ইসলামের কাছে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
নিহত কামাল পাবনা জেলার ইশ্বরদী উপজেলার রূপপুর জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা।

গ্রেফতাররা হলো- বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার নারকেলি গ্রামের কাউছার আহমেদ (৩৫), সাকরাইল গ্রামের মাইনুল ইসলাম সুমন (৩০) এবং ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের ইটখোলা গ্রামের মামুন মিয়া (৩২)।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গত বছরের ৭ নভেম্বর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে মির্জাপুর উপজেলার বাইমাইল এলাকায় অজ্ঞাত একটি লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসে। লাশের পাশে একটি মোবাইল নম্বরসহ চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটের সূত্র ধরেই নিহত ওই ব্যক্তির ছেলে কামরুজ্জামান মির্জাপুর থানায় এসে লাশটি তার বাবার বলে শনাক্ত করেন। ওই সময় কামালের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘তদন্তে জানা যায়, সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার কাউছার নামে এক ব্যক্তি ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাকে গত শুক্রবার হেমায়েতপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মাইনুল সুমনকে মিরপুর থেকে গত শনিবার গ্রেফতার করা হয়। তাদের উভয়ের তথ্যের ভিত্তিতে মামুনকে কেরানীগঞ্জ থেকে রবিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেলোয়ার নামে আরও এক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আসামিরা ছিনতাই চক্রের সদস্য। কামাল হোসেনকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় তারা।’