মানিকগঞ্জ শহরে ১ এপ্রিল (বুধবার) এই ঘটনা ঘটে। আবুল বাসারের জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার কয়েকজন ব্যক্তি তার বাসায় ত্রাণের জন্য হাজির হন। এই সময় ওই ব্যক্তিরা তাকে জানায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক হামজা খান ও ছাত্রলীগ কর্মী ইমন তাদের হাতে একটি ত্রাণের স্লিপ দিয়ে জানিয়ে আবুল বাসারের বাড়ি থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
আবুল বাসার জানান, আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা পরিকল্পিতভাবে এই অপকর্ম করেছে। আসলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই দিন দুস্থদের মাঝে কোনও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেননি।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর জেসমিন আক্তারও একই অভিযোগ করে সদর থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। ওই নারী কমিশনার জানান, তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে বিভিন্ন এলাকার দুস্থদের মাঝে ত্রাণের স্লিপ বিতরণ করা হয়েছে। সকালে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে একের পর এক ফোন আসতে থাকে। তাদের ফোন পেয়ে বাড়ির বাইরে গিয়ে দেখেন শতাধিক লোক ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন। জিজ্ঞেস করতেই তারা বলেন, তারা ত্রাণ নিতে এসেছেন। তাদেরকে দেওয়া স্লিপও দেখান।
ওই দুই জনপ্রতিনিধি বলেন, দেশের এই সংকটের সময়ে এই ধরনের উপহাস কাম্য নয়। ত্রাণের নামে এই দরিদ্র মানুষের সঙ্গে প্রতারণা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা ইতোমধ্যে পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত হামজা খান জানিয়েছেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য জেলা পরিষদের সদস্য ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, ওই দুইজন জনপ্রতিনিধি তার কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে ওই দুই জনপ্রতিনিধি থানায় দুটি জিডি করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।