শুক্রবার (১০ এপ্রিল) গাজীপুরের কড্ডা নাওজোর (চেয়ারম্যান বাড়ি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কারখানার সুইং শাখার সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক (এপিএম) আজিজুর রহমান বলেন, ‘কারখানায় প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। তাদের মধ্যে সবেতনে (যাদের চাকরির বয়স এক বছর হয়নি) এমন ৩৫০ জনের বেশি শ্রমিকের কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সই নিয়ে ও পরিচয়পত্র জমা রেখে মার্চের ২৬ দিনের বেতন দিয়ে শুক্রবার ছাঁটাইয়ের চেষ্টা চালায় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশের হস্তক্ষেপে কারখানা কর্তৃপক্ষ কিছু পরিচয়পত্র ফেরত এবং স্বাক্ষর নেওয়া সাদা কাগজ ছিড়ে ফেলে। তবে এখনও ২০০ মতো স্টাফ ও শ্রমিকের পরিচয়পত্র ও স্বাক্ষরযুক্ত সাদা কাগজ ফেরত দেয়নি।’
নোটিশ টানানোর ব্যাপারে কারখানার শ্রমিক শিল্পীসহ কয়েকজন জানান, বৃহস্পতিবারও লে-অফের নোটিশ কারখানা গেটে ছিল না। শুক্রবার বেতন নিতে গিয়ে ৩০ মার্চ সই করা নোটিশ টানানো দেখতে পান তারা। এরপর তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
কারখানার শ্রমিক দেলোয়ার মিয়া, আরমান হোসেন, তানিয়া আক্তার ও জুয়েনা আক্তারসহ অনেকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ এবং ছাঁটাই হলে এসব শ্রমিক-কর্মচারীদের চলার কোনও পথ থাকবে না। বকেয়া বেতনের টাকায় দোকানের বাকি ও বাড়ি ভাড়া দিয়েই শেষ হয়ে যাবে। এরপর আমরা কী খাবো?