গরুর চাহিদা কমার আশঙ্কা, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

গরুর খাবার দেওয়া হচ্ছেপ্রতি বছরের মতো কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবারও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বিলবেষ্টিত গ্রাম সোনাখালী, বন্যাবাড়ি, মিত্রডাঙ্গা গ্রামের অন্তত ৩শ' পরিবার গরু মোটাতাজা করেছে। কোরবানি মৌসুমের লাভের টাকা দিয়ে ৬-৭ মাস অনায়াসে চলে যায় এই এলাকার খামারিদের। কিন্তু, এবার করোনা মহামারির প্রভাব সব জায়গাতেই পড়েছে। খামারিদের কাছে এখনও আসছেন না কোনও বেপারি। তারা আশঙ্কা করছেন, এবার গরুর চাহিদা কম থাকবে এবং ভালো দাম পাওয়া যাবে না। এই অবস্থায় জীবন-জীবিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিদের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সোনাখালী, বন্যাবাড়ি, মিত্রডাঙ্গা গ্রামের অধিকাংশ জমি বর্ষা মৌসুমে জলমগ্ন থাকায় কৃষি কাজের সুযোগ কম থাকে। তাই প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এলাকার পরিবারগুলো গরু পালন করে থাকেন।

কোরবানির জন্য পালিত গরুঈদের আগে তারা বাজার থেকে ছোট গরু কিনে ৮-৯ মাস লালন-পালন করেন। গরুর খাবার হিসেবে তারা কাঁচা ঘাস, ভুষি, ধানের কুড়া, খৈল ও সঙ্গে চিটাগুড় খাইয়ে গরু লালন-পালন করেন। আর ঈদের সময় তা বাজারে বিক্রি করেন। দেশীয় পদ্ধতিকে এলাকাবাসী গরু লালন-পালন করে বিধায় এখানকার গরুর চাহিদাও বেশি থাকে।

গরু খামারি অবনী রায়, ভোলা বিশ্বাস ও ফারুক ফকির বলেন, ‘আমাদের মতো অসংখ্য খামারি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ‍ঋণ নিয়ে গরু কিনে লালন পালন করেছেন। কিন্তু, আমরা সঠিক দামে গরু বিক্রি করতে পারবো কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। করোনার কারণে এবার আগেভাগে কোনও বেপারি দেশি গরু কিনতে আমাদের এলাকায় আসেননি। গরুর বাজার কী হবে, আদৌ আমাদের চালান উঠবে কিনা—তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

কোরবানির জন্য পালিত গরু

তবে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আজিজ আল মামুন বলেন, 'ভারতীয় গরু বাজারে না এলে গোপালগঞ্জের খামারিরা লাভবান হবেন।'